রাজশাহীতে পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইটে গ্রেপ্তার ৫৮
আপলোড সময় :
০৯-১১-২০২৫ ১০:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-১১-২০২৫ ১০:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান পদ্মার চরে চালানো ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নিয়ে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন-
রাজশাহী রেঞ্জ এর আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার পদ্মার চরে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের যৌথ অভিযান ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইটে’ মোট ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। রোববার ভোর ৪ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত রাজশাহীর বাঘা, পাবনার বেড়ার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী, নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শকের (ডিআইজি) সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, পদ্মার চরে কাকন বাহিনীসহ মোট ১১টি বাহিনী সক্রিয় আছে। এই অভিযানে তাদের সদস্যদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা চরের সক্রিয় সন্ত্রাসী ছিলেন। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের ১ হাজার ২০০ সদস্য অভিযানে অংশ নেন।
সম্প্রতি পদ্মার চরকেন্দ্রিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে ‘কাকন বাহিনী’র নাম আসে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কথায় কথায় গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, চরের বালু ও ফসল লুট করে, অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে।
শেষ গত ২৭ অক্টোবর চরে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে ‘কাকন বাহিনী’র গুলিতে তিন কৃষক নিহত হন। এ ঘটনায় বাহিনীর প্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ কয়েকজনের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ।
অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল রাজশাহী, নাটোর ও পাবনার বিস্তীর্ণ পদ্মা চরের বাসিন্দাদের বিভিন্ন বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতনের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে কাজ করা। এটা শেষ নয়, শুরু। তিনি মনে করেন, এই অভিযানের মাধ্যমে ওই এলাকার মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স